আনন্দপাঠ - বাংলা দ্রুতপঠন : ৬ষ্ঠ শ্রেণি

NCTB

২০০৩ - ২০১১ শিক্ষাবর্ষ
  • শিরোনাম: আনন্দপাঠ - বাংলা দ্রুতপঠন
  • প্রকাশক/প্রকাশনী: NCTB
  • ভাষা: bn-BD
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রবর্তন করা হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় এক যুগ ধরে এই শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত পঠন- পাঠন সামগ্রী ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ২০০১-২০০২ সালে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, প্রান্তিক যোগ্যতা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য বিষয়ভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা পরিমার্জন ও পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরই ভিত্তিতে ঐ শ্রেণীর সকল বিষয়ের নতুন পঠন-পাঠন সামগ্রী প্রণয়ন করা হয়।
বাংলা বিষয়ের জন্য চিহ্নিত শ্রেণীভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রথম শ্রেণীর জন্য নতুন বাংলা পাঠ্যপুস্তক ‘আমার বাংলা বই' (প্রথম ভাগ) রচিত হয়। অতঃপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রেণী শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বইটির যৌক্তিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হয়।
প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার বাহন মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। সে জন্য বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জন শিক্ষার্থীদের একান্ত প্রয়োজন। বাংলা একদিকে যেমন শিক্ষার বিষয় তেমনি প্রাথমিক স্তরের অন্যান্য বিষয় শেখারও অপরিহার্য মাধ্যম। বাংলা ভাষার এ দু'ধরনের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এবং শোনা, বলা, পড়া ও লেখা— ভাষা শেখার এ চারটি দক্ষতা যেন শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমার বাংলা বই-এর পাঠ—উপকরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
২০০২ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইটি শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর পর থেকেই এ দেশের সুশীল সমাজ, বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা গবেষণায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গণ-মাধ্যমের পক্ষ থেকে বইটিকে আরো আকর্ষণীয়, সহজপাঠ্য এবং শিশুতোষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। ফলে ২০০৯ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন আকর্ষণীয় বাংলা বই পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও কথা-সাহিত্যিকদের সহায়তায় বইটি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়।
আমরা জানি, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এর ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক রচিত হয়। কাজেই পাঠ্যপুস্তকের আরো উন্নয়নের জন্য যেকোনো গঠনমূলসক ও যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রত্যাশিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টার সঙ্গী হিসেবে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশে বর্তমান সংস্করণে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও চেতনা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো প্রকাশ করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে যেতে পারে। পরবর্তী সংস্করণে পাঠ্যপুস্তকগুলো আরো সুন্দর, শোভন ও ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ বই রচনা, সম্পাদনা এবং পরবর্তীতে সংশোধন ও পরিমার্জনসহ মুদ্রণ ও প্রকাশনার বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। যেসব কোমলমতি শিশুদের জন্য বইটি রচিত ও পরিমার্জিত হল, তারা উপকৃত হলেই আমাদের সকল প্রয়াস সফল হবে বলে আমি মনে করি।

একই রকম অন্যান্য বই